আমরা অনেক সময় মানুষকে শত্রু ভাবি । যেমন- আমার স্ত্রী যার সাথে পরকীয়া করে, যে আমার নামে মিথ্যা সমালোচনা করে, যে আমাকে বা আমার পরিবারকে ঘৃনা করে, যে আমার আপনজনকে হত্যা করেছে ইত্যাদি- আমরা তাকেই শত্রু বলি। কিন্তু বাইবেলের কথা অনুসারে একজন খ্রীস্টিয়ান হিসেবে আমরা শত্রুকে ভালবাসব কি করে? আমরা খুব সহজেই বলে ফেলি
আমাদের বন্ধুকে যেভাবে ভালবাসি সেভাবে আমাদের শত্রুকে ভালবাসব । কথাটা ঠিক তবে একটু নিজেদের প্রশ্ন করি-আমরা কতটুকু সফল হতে পেরেছি। বাইবেল আমাদেরকে বলে আমরা পরষ্পরকে প্রেম করব অথচ আমাদের চার্চগুলো পরষ্পরের বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছে। আমরা নিজেদের নিয়ে এতটাই ব্যস্ত এবং এতটাই আত্মকেন্দ্রিক হয়ে পড়েছি যে আমাদের প্রতিবেশীদের দিকে তাকানোর সময় খুব কম । যেখানে আমরা আমাদের প্রতিবেশীদের ভালবাসতে পারি না সেখানে শত্রুকে ভালবাসব কি করে!আসলে আমাদের শত্রুকে আমরা অনেক সময় চিনতে পারি না । চিনতে ভুল করি ।
আমরা মানুষকে শত্রু ভাবি। আমরা শয়তানের কথা ভুলে যাই। আমরা ভুলে যাই যে অনেক সময় মন্দ আত্মা দ্বারা আমরা পরিচালিত হচ্ছি । আর এভাবেই একজন মানুষ অপর একজন মানুষকে শত্রু ভাবতে শুরু করে ।
খ্রিস্টিয়ান হিসেবে এটা আমাদের মনে রাখা উচিৎ যে আমাদের শত্রু কোন মানুষ নয়। মানুষের বিরুদ্ধে আমরা যুদ্ধ ঘোষনা করতে পারি না । আমাদের শত্রু হল শয়তান বা মন্দ আত্মা (ইফিষীয় ৬:১২)। আমরা আমাদের প্রার্থনার মাধ্যমে যীশুখ্রিস্টের নামে এই শয়তান বা মন্দ আত্মার বিরুদ্ধে বিজয়ী হতে পারি । আমরা প্রার্থনার মাধ্যমে যার মধ্যে এই মন্দ আত্মা প্রবেশ করে আমাদের শত্রুতার সৃষ্টি করছে তা দূর করতে পারব । তবে সাবধান শয়তানও কিন্তু প্রতি নিয়ত যুদ্ধের কৌশল পাল্টায় । তাই আমাদের সদা যাগ্রত থাকতে হবে । আর এই যুদ্ধের জন্য আমাদের প্রয়োজন বিশ্বাসের ঢাল, পবিত্র আত্মার ছোরা বা ঈশ্বরের বাক্য, ঈশ্বরের দেওয়া উদ্ধার যা আমাদের শিরোস্ত্রান এবং মনে প্রাণে প্রার্থনা (ইফিষীয় ৬:১৭-১৮)। আর এভাবেই আমরা হতে পারব সত্যিকারের আত্মিক যোদ্ধা এবং সেইসাথে মানুষ শত্রু হলেও তাকে ভালবাসতে পারব। পরিশেষে বলি কোন মানুষ আমাদের শত্রু নয়, মানুষকে আমরা ভালবাসব ঘৃনা করব শয়তানকে ।







Comments (0)
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন